স্বস্তির জয়ের পরও সুপার ফোর নিশ্চিত নয় টাইগারদের

ক্রিড়া ডেস্ক

এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে গত মঙ্গলবার রাতে আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের দৌড়ে টিকে আছে টাইগাররা। আফগানদের বিপক্ষে স্বস্তির জয়ের পরও দলের ব্যাটিং-বোলিংয়ে আরও উন্নতি চান বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি জানান, ইনিংসের শেষদিকে দলের ব্যাটাররা এবং মাঝের ওভারে বোলাররা ভালো করতে পারেনি। আবু ধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪০ বলে ৬৩ রানের সূচনা করেন বাংলাদেশ ওপেনার সাইফ হাসান ও তানজিদ হাসান। সাইফ ৩০ ও তানজিদ ৩১ বলে ৫২ রান করে আউট হন। ১৫ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১১৯ রান তুলে বড় সংগ্রহের পথেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রানের বেশি তুলতে পারে টাইগাররা। এতে ৫ উইকেটে ১৫৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। স্পিনার নাসুম আহমেদের বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে শুরুতে চেপে ধরে বাংলাদেশ। শুরুর চাপ পরবর্তীতে আর সামলে উঠতে পারেনি আফগানিস্তান। বড় জুটি না হওয়ায় ১৪৬ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হারে আফগানরা। এই জয়ে সুপার ফোরের আশা টিকে থাকলেও, দলের পারফরমেন্সে আরও উন্নতি চান লিটন। ম্যাচ শেষে লিটন বলেন, ‘এমন জয় কিছুটা স্বস্তির হলেও শেষ চার-পাঁচ ওভারে আমরা ব্যাট হাতে ভাল খেলতে পারিনি। মাঝের ওভারগুলোতেও বোলিং ভাল হয়নি। আমরা জানি, বড় রান করার মত আমাদের যথেষ্ট সুযোগ ছিল। কিন্তু আমরা অন্তত ১৫ থেকে ২০ রান কম করেছি।’ বোলারদের প্রশংসা করে লিটন বলেন,‘আমাদের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে, বিশেষভাবে নাসুম। অনেক দিন পর খেলতে নেমে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছে সে। বল হাতে ইনিংসের শুরুতে উইকেট শিকার করেছে সে। মাঝের ওভারে রিশাদও গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছে। আজ বোলিং খুবই ভাল হয়েছে।’ দলের জয়ে উদ্বোধনী জুটিতে তানজিদ-সাইফের রান বড় অবদান রেখেছে বলে জানান লিটন। তিনি বলেন, ‘শুরুতে সাইফ-তানজিদের জুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একইভাবে শুরুর দিকে উইকেট শিকারও ছিল বিশেষ কিছু।’ শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলংকা জিতলেই সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে লিটন কি শ্রীলংকাকে সমর্থন করবেন কি না, এমন প্রশ্নে হাসতে-হাসতে লিটন বলেন, ‘জানি না, দেখা যাক কি হয়!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *