দিনাজপুরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে এক যুবকের আত্মহত্যা

মো.রাফিন হোসেন আরফিন
দিনাজপুরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে অবশেষে এক যুবক নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এটি পরিকল্পিত হত্যা না আত্মহত্যা তদন্ত সাপেক্ষে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশ  জানিয়েছে।
তবে  ওই যুবক নিজে আত্মহত্যা করেছে, না তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় দিনাজপুরের কাহরোল উপজেলার ১নং ডাবর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
 কাহারোল উপজেলার ২নং রসুলপুর ইউনিয়নের হাসুয়া গ্রামের কৃষ্ণকান্ত রায়ের (হেপা) ছেলে সুব্রত রায় (৩০) ১নং ডাবর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে প্রথমে স্ত্রীকে ধারালো ছুরি দিয়ে কোপায়। তার শাশুড়ি মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে সে পার্শ্ববর্তী একটি ধান ক্ষেতে গিয়ে নিজেই গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার করে বলে এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসী গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় সুব্রত রায়কে ধান ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন দিলে কাহারোল থানা পুলিশ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কাহারোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত সুব্রত রায় সাত বছর আগে শংকরপুর গ্রামের সনুরাম রায়ের মেয়ে বিউটি রানীকে বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের সংসারে পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হলে বিচ্ছেদে পরিণত হয়। তারপরও সুব্রত রায় স্ত্রীর টানে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া-আসা করত। তারই এক পর্যায়ে ঘটনার দিন স্ত্রী ও শাশুড়ির সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত হলে এক পর্যায়ে বউ ও শাশুড়িকে আঘাত করলে জখম হয়ে তারা আহত হন। পরে তার শাশুড়িকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর ও স্ত্রী বিউটি রানীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে থানা হেফাজতে নেন কাহারোল থানা পুলিশ।
কাহারোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ট্রিপল নাইনে ফোন করার পর কাহারোল থানা পুলিশ সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে কাহারোল হাসপাতালে নেওয়া হয়।পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর জখম সুব্রতকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  এটি পরিকল্পিত হত্যা না আত্মহত্যা তা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *