নরসিংদী জেলার শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক শাহীদ হাসান

মো: জসিম উদ্দিন

নরসিংদী শিবপুর উপজেলার যোশর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহীদ হাসান ২০২৫ সালের জেলার শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) নিরঞ্জন কুমার রায় স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
শাহীদ হাসান শিক্ষক দম্পতির সন্তান। তার পিতা আবু ছাউদ মৃধা এবং মা রোকেয়া বেগমÑ দুজনই শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। সেজন্য ছোটবেলা থেকেই শিক্ষকতা পেশার প্রতি তার একটা দুর্বলতা ছিল। নানা গুণে গুণান্বিত শাহীদ হাসান একসময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখিও করতেন।
নরসিংদী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিরঞ্জন কুমার রায় জানান, প্রতিবছর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সংশ্লিষ্ট উপজেলার সব শিক্ষকের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে গুণী শিক্ষকের একটি তালিকা পাঠায়। সেই তালিকা যাচাই-বাছাই করে ডিসি, এসপিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি। সরাসরি সাক্ষাৎকার, প্রেজেন্টেশন এবং শিক্ষাদান কেন্দ্রিক অতীত কর্মকাণ্ড মূল্যায়নের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচন করা হয়। এবারও একই প্রক্রিয়ায় গুণী শিক্ষক বাছাই করা হয়েছে।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে শাহীদ হাসান বলেন, শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করার পর থেকেই নিজের সব প্রজ্ঞা, মেধা, মনোযোগÑ এর পেছনে দিয়েছি। শিশুদের শেখানোর কাজটিকে কীভাবে আকর্ষণীয়, সহজবোধ্য ও সাবলীল করা যায়, সারাক্ষণ সেই চিন্তা করেছি। শিক্ষার্থীদের বয়স ও মানসিকতার উপর ভিত্তিকরে বিভিন্ন শিখন পদ্ধতি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। ২০১৪ সালে ওঈঞ ও মাল্টিমিডিয়া সরঞ্জাম পাওয়ার পর থেকে পাঠদান কার্যক্রমে প্রযুক্তির শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিতের চেষ্টা করি। যাতে পাঠকে আরো চমকপ্রদ ও সহজবোধ্যভাবে উপস্থাপন করা যায়। স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেও ওঈঞ ব্যবহারের মাধ্যমে সহজ করেছি, ফলে আগের তুলনায় সহকর্মীদের কাজের চাপ কমেছে অনেক। তাছাড়া আমাদের স্কুল ব্যবস্থাপনার সব কাজ এখন হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছি। ইতিমধ্যে আমাদের বিদ্যালয়টি একটি স্মার্ট ও মডেল বিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাকে জেলার ‘গুণী শিক্ষক’ নির্বাচিত করায় আমি উল্লসিত। যারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন (বাছাই কমিটির সকলকে), যারা অনুপ্রেরণা দিয়েছেন (স্বজন, সহকর্মী, শুভাকাঙ্খী) এবং স্বীকৃতি পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন, তাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
প্রসঙ্গত, যোশর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০২৪ সালে জেলাতে শ্রেষ্ঠ হয়েছে। এর আগের বছর শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *