সাভারে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সাংবাদিক কাজী দেলোয়ার হোসেন কে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ২৬/০৯/২০২৫ তারিখ সাভার মডেল থানায় একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট মামলা রজু করা হয়। মামলা নং ৭২। এজাহারে মামলার বাদী আলী রেজা রাজু – দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাংবাদিক কাজী দেলোয়ার হোসেনর বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করেন, অভিযোগের সঠিক তদন্ত ছাড়াই ৬ নম্বর আসামি করে মিথ্যা মামলাটি রুজু হয়।

মামলার বিবাদী সাংবাদিক কাজী দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদেরকে কে বলেন, আপনারা তদন্ত করে দেখেন। এছাড়া ও মামলার বাদী এজাহারে কাজী দেলোয়ার হোসেন দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার এক জন সাংবাদিক এই পরিচয়টি গোপন করে মামলা রজু করানো হয়।

সাংবাদিক কাজী দেলোয়ার হোসেন আরো অভিযোগ করেন, কোনরকম তদন্ত ছাড়াই তার বিরুদ্ধে- সাভার মডেল থানায় মিথ্যা মামলা রজূ হয়। মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে পেশাগত দায়িত্ব অখুন্ন রাখতে কর্মরত সকল গণমাধ্যম কর্মী এবং প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। এই মামলার সত্য ঘটনা উন্মোচন হওয়ার জোর দাবি জানান।

তিনি আরো বলেন। দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে এই মামলাটি রজু করানো হয় বলে বিবাদীর দাবি। দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার অফিস তথ্য মতে জানা যায় যে, আলী রেজা রাজু নামের কোন ব্যক্তি গণমাধ্যম কর্মী সাভার-আশুলিয়ায় প্রতিনিধি নাই। মামলার বাদী আলী রেজা রাজু দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা অপকর্ম করে যাচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান অফিস কর্তৃপক্ষ।

মামলা রজু হওয়ার পর নকল উঠিয়ে জানতে পাই,মামলার এজাহারে ৭ সাতজনের মধ্যে ৬ নম্বর আসামি করা হয় তাকে।তিনি আরো বলে
মামলাটি সঠিক তদন্তের স্বার্থে তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে আলী রেজা রাজুর বিবস্ত্র ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখার জর দাবি জানান।
আমি বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি আমার ফেসবুক আইডি থেকে আলী রেজা রাজুকে জড়িয়ে কোন ছবি বা ভিডিও পোস্ট করা হয়নি। তিনি কোন প্রমাণ দিতে পারবেন না।
বাদীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছে।তার আগে -পরে আমি কিছুই জানিনা।
প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ ৯/৯/২৫ ইং তাং ঘটনা দিন আমি কোথায় ছিলাম আমার সারাদিনের কর্মব্যস্ততার প্রমাণ মোবাইল ট্রাকিং করলেই বোঝা যাবে। আমার ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বারটি তদন্তের স্বার্থে দিলাম ০১৬১১৬০৪৬৫৪।

মামলার বাদি যে বিবস্ত্র ভিডিওর কথা বলেছেন, সেটি ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠালে জানা যাবে ভিডিওটি কতদিন আগের এবং কোথায় ধারণ করা হয়েছিল।
এই ঘটনায় ষড়যন্ত্র মূলক আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট আমার আকুল আবেদন,ঘটনাটি সঠিক তদন্ত করেন। এই মিথ্যা মামলা থেকে আমি মুক্তি পেতে চাই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। এই ধরনের মিথ্যা মামলা এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ ছাড়া হেনেস্তা করার জন্য সাভার উপজেলা গণমাধ্যম কর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *